আজ ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে'

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে বলে হুশিয়ার করেছে মস্কো।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর প্রতি ওয়াশিংটনের ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মস্কো জানিয়েছে। খবর স্পুটনিকের।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দপ্তরের পরিচালক ভ্লাদিমির ইয়েরমাকভ মঙ্গলবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার প্রতি সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে অটল থাকে এবং ক্রমাগত সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে নতুন টার্ট চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়বে।

ইয়েরমাকভ আরও বলেন, ওয়াশিংটন যদি বিশ্বের দুটি শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের পরিস্থিতিকে সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় তখন নয়া স্টার্ট চুক্তির ভাগ্য নয় বরং গোটা বিশ্বের ভাগ্য শঙ্কার মধ্যে নিপতিত হবে।
২০১০ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ নয়া স্টার্ট চুক্তিতে সই করেন।

ওই চুক্তিতে দু’দেশ তাদের কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এবং মোতায়েন করা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সম্মত হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার সংঘাতপূর্ণ নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়া চুক্তিটি স্থগিত করে দেয়। অবশ্য চুক্তিটি থেকে এখনও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়নি মস্কো।
রাশিয়া বলেছে, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যার ওপর যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলবে দেশটি।

     এই ক্যাটাগরির অন্যান্য নিউজ