আজ ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উদ্বোধন হলো বিলোনিয়া স্থলবন্দর

পরশুরাম প্রতিনিধি: ফেনী পরশুরাম উপজেলাধীন বিলোনিয়া স্থল বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজের দুই তৃতীংশ কাজ বাকি রেখেই রোববার (২১ মে) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ’র বাধার কারনে কিছু কাজ বাকি আছে। তাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক হয়েছে আরো বৈঠক হবে আশাকরি শীঘ্রই এর স্থায়ী সমাধান হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, নৌ পরিবহণ সচিব মোস্তফা কামাল, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং সুবিধা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস এবং আবাসন সুবিধাসহ বিলোনিয়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ করা হয় ১০ একর জমি।

২০১৯ সালে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে কাজ শুরু হয়। নকশার মাত্র ৩০ শতাংশ অংশ দেড়শ গজের বাইরে থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাকি ৭০ শতাংশের কাজ দেড়শ গজের ভেতরে থাকায় বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে যায়। এই নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একাধিক বার দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি।

বিলোনিয়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের এখনো ৭০ শতাংশ কাজ বাকী রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা বিরোধ সংক্রান্ত জটিলতার কারনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র বাঁধার কারণে বাকী কাজ করা সম্ভব হয়নি।

পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকায় ২০০৯ সালে দেশের ১৭তম এ স্থলবন্দরটি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিলোনিয়া স্থলবন্দর পুনঃ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সিদ্ধান্তে স্থলবন্দরটি চালু করা হয়।

বিলোনিয়া স্থলবন্দরটি উদ্বোধনের পর থেকে একমূখী বাণিজ্য কার্যক্রম চালু রয়েছে। শুধুমাত্র ভারতে রপ্তনী কার্যক্রম চলছে। ইতিপুর্বে স্থানীয় আমদানি রপ্তানী কারকদের দাবির পেক্ষিতে এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্বান্ত মোতাবেক গত বছরের শেষ দিকে আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলেও কয়েক সপ্তাহ পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডলার সংকটসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিলোনিয়া স্থলবন্দরের কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম জানান দুই তৃতীংশ কাজ বাকী রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে অবকাঠামো রয়েছে তা দিয়েও বন্দর কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হবে।

দেখা গেছে, বিলোনিয়া স্থল বন্দরের এক তৃতীংশ কাজের দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো গড়ে তুলা হয়েছে। ওয়েব্রীজ স্কেল, প্রশাসনিক ভবন,ওয়্যার হাউজ, পাওয়ার হাউজ, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়াচ টাওয়ার, বিশাল আকারের ওপেন ইয়ার্ডসহ দৃষ্টিনন্দন গেইট স্থাপন করা হয়েছে।

বিলোনিয়া স্থলব্দর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো ইব্রাহিম বলেন, দীর্ঘদিন পর বিলোনিয়া স্থল বন্ধর অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশাকরি।

     এই ক্যাটাগরির অন্যান্য নিউজ