আজ ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে অল্প বয়সেই সফলতা পেয়েছেন মো. সাজেদুর রহমান

অনলাইন ডেক্স: মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া স্বপ্নবাজ এক তরুণ মো. সাজেদুর রহমান। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সাজেদুর ঢাকায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ভাইদের অনুপ্রেরণায়। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি শিখতে শুরু করেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে ২০১৩ সালে যোগ দেন ‘বিট মাসকোট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি তাকে। ২০১৭ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান স্টারটেকে। সেখান থেকেই শুরু তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প।
 
বর্তমানে সফল উদ্যোক্তা সাজেদুর বলেন, ‘আজ আমি সফল হতে পেরেছি, কেননা শুরু থেকেই প্রোগ্রামিংয়ের বিষয় নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল। এ জন্য আমি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নিতাম। এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।’
 
সাজেদুর বলেন, ‘ই-কমার্স নিয়ে কাজ করার আমার কোনো প্ল্যান ছিল না। ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পর একটা অস্ট্রেলীয় কোম্পানিতে চাকরি করি। সেখান থেকেই মূলত আমি ই-কমার্স নিয়ে কাজ করার কথা ভাবি। আর এই ভাবনা থেকেই বিট মাসকোট ও পরবর্তীতে স্টারটেকে জয়েন করি। স্টারটেকের ই-কমার্স ব্যবসা আমিই শুরু করেছি। বর্তমানে আমি ই-কমার্স ও মিডিয়ার কার্যক্রম দেখাশোনা করি। একইসঙ্গে আমি কোম্পানির একজন পরিচালক ও অংশীদার।’
 
ই-কমার্সের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, ই-কমার্সে কাজ করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল না। কেননা, স্টারটেকের আগে থেকেই একটি ফ্যানবেজ ছিল। তবে আমাদের গ্রাহকরা ই-কমার্সে অভ্যস্ত না থাকায় একটু সময় লেগেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রমোশনের মাধ্যমে কাস্টমারদের আমরা অভ্যস্ত করে তুলেছি।’
 
নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের উদ্দেশে সাজেদুর বলেন, ‘উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রাটি অনেক উৎসাহ আর উদ্দীপনার। তবে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা চ্যালেঞ্জের। তবে সঠিক গাইডলাইন ও কঠোর পরিশ্রমে সফল হওয়া সম্ভব।’
উল্লেখ্য যে,  মো: সাজেদুর রহমান ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলাধীন মাতুভুঞা ইউনিয়নের উত্তর আলিপুর গ্রামের ফয়েজ ভুঞা বাড়ীর মরহুম আইয়ুব আলী ভুঁইয়ার ছোট সন্তান।
সৌজন্যে- সময় নিউজ।

     এই ক্যাটাগরির অন্যান্য নিউজ