দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে লরিচাপায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতদের মধ্যে ইসমাইল হোসেনের দীর্ঘ ১২ বছর পর এপ্রিল মাসে বাড়িতে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
ইসমাইল হোসেন (৩৮) সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের শরীয়ত উল্লাহর ছেলে। তিনি ১২ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছিলেন।সাংবাদিক শাহজালাল ভূঁইয়া জানান, সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের ইসমাইল হোসেন দীর্ঘ ১২ বছর যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন। তার আরেক ভাইসহ একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। আগামী এপ্রিল মাসে বাড়িতে ফিরে তার বিয়ে করার কথা ছিল।শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে সড়কে লরিচাপায় পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। জোহানেসবার্গ থেকে কেপটাউনে যাওয়ার পথে বুফুল এলাকায় একটি ট্যাক্সিকে লরি চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবার বাড়ি ফেনীতে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে নিহতের স্বজন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত অন্যরা হলেন- ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঁইয়া ইউনিয়নের রাজু আহমেদ, জায়লস্কর ইউনিয়নের মোস্তফা কামাল, সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেন ও তার সন্তান নাহিদ হোসেন।
নিহত মোস্তফা কামালের ভাই অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান জানান, তার ভাই দীর্ঘ ১২ বছর যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় দোকান দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন। ৪ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দাম্পত্য জীবনে তার দুই সন্তান রয়েছে।ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায়। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিহতদের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।